In today’s world, earthquakes are a common phenomenon happening worldwide and Bangladesh is no exception. With the recent occurrences of earthquakes in neighboring countries, along with Bangladesh, it is only natural for everyone to be apprehensive about the safety issue, especially with Bangladesh being one of the most densely populated countries in the world.
What can be done to improve earthquake safety?
Although we have construction rules and regulations in Bangladesh National Building Code( BNBC) and regulatory bodies like RAJUK to look after quality of building construction so that they are safe, there is still room for improvement for taking preemptive measure against earthquakes, one of which is through research and innovation in structural engineering. Recently, such a research sponsored by bti has been undertaken by University of Asia Pacific under the guidance of Professor Jamilur Reza Chowdhury. A comprehensive research along with mathematical modeling was carried out to provide potential practical application in design and construction of buildings to make them more earthquake resistant. What makes a building earthquake resistant? Buildings are primarily built to carry vertical load of its contents and the occupants but during earthquake, buildings sway side to side facing lateral load. Engineers design buildings so that during earthquake, the building can remain stable. The more earthquake resistant a building is the greater is it”s ability to withstand this load during strong earthquakes. What the UAP research on earthquake resistant building shows The research carried out showed interesting outcomes which can now be implemented in buildings in a cost effective way to strengthen building structures. It was modeled on a proposed 10-storied building based on BNBC earthquake static load. The static load is the constant amount of force exerted on a building. The building when replicated to face the dynamic earthquake load, which is very close to real life situation, can withstand the shock if only a small beef up of the structural members are done. This “beef up” has been referred to as jacketing(strengthening) of the columns (pillars).What are “soft story” buildings and how to make them more earthquake resistant?
A major finding of the research is that building with ground floor parking having only pillars, known as “Soft Story” are most susceptible to collapse during earthquakes. The research also showed how such structures can be made earthquake resistant enough to withstand the shock without changing the architectural layout. The architectural layout is important here because the car parking area as per BNBC is very much fixed and tight making the column sizes fixed. This can be solved with a simple steel plate jacketing of the column, where the column size remains unchanged. Since earthquake is a major concern for everyone, it is important to create awareness instead of panic and find preemptive measures through research such as this one. However, the findings also need to be implemented in design and construction for effective engineering solutions and making buildings more earthquake resistant, so that we are prepared when earthquake strikes. The research was sponsored by bti which also provided the prototype building for the research as an initiative to strengthen building structures to make them more earthquake resistant.******************************************************************************************
বাংলাদেশে কিভাবে ভূমিকম্প মোকাবেলা করা যায়? “বিএনবিসি নীতিমালার বাইরেও কিভাবে ভবনের কাঠামোকে আরও বেশি শক্তিশালী করা যায়”, এব্যাপারে সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল
অনুবাদক: সৈয়দ মোসাদ্দেক বিন সামাদ
বর্তমান বিশ্বে ভূমিকম্প একটি স্বাভাবিক ঘটনা এবং বাংলাদেশও এ থেকে আলাদা নয়। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশে সাম্প্রতিক কিছু ভূমিকম্পের ঘটনা স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ণ দেশের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদেরকে নতুন করে ভাবিয়ে তোলে।
ভূমিকম্পের নিরাপত্তা জোরদারে কি করা যেতে পারে?
যদিও আমাদের দেশে জাতীয় নির্মাণ নিয়মাবলী (বিএনবিসিতে) আছে এবং নির্মাণ কাজের গুনগত মান যাচাইয়ের জন্য রাজউকের মত কিছু নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাও আছে, যাতে নির্মাণ নিরাপদ হয়, তথাপি ভুমিকম্প মোকাবেলা করার জন্য আরও উন্নত কিছু করার সুযোগ আছে। যার মধ্যে একটা হচ্ছে কাঠামোর কলা-কৌশল নিয়ে গবেষণা করা এবং নতুন কিছু উদ্ভাবন করা।
সম্প্রতি এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে বিটিআই- এর সহায়তায় এরকম একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। ভবনকে আরও বেশি ভূমিকম্প সহনীয় করতে এবং ডিজাইন ও নির্মাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার কৌশল গানিতিক ব্যাখ্যাসহ উদ্ভাবনের লক্ষে একটি বিশদ গবেষণা পরিচালিত হয়।
কি কি বিষয় ভবনকে ভূমিকম্প সহনীয় করে তোলে?
প্রাথমিকভাবে ভবনকে এমনভাবে নির্মাণ করা হয় যাতে ভবনটি এর উপাদান এবং ভবনে বসবাসকারীদের ভার লম্বালম্বি ভাবে বহন করতে পারে কিন্তু ভূমিকম্পের সময় ভবন পার্শ্বিক ভার মোকাবেলা করে এপাশ ওপাশ দোলে। প্রকৌশলীরা এমনভাবে ভবনের ডিজাইন তৈরি করে যাতে ভূমিকম্পের সময় ভবনটি স্থিতিশীল থাকে। একটি ভবন শক্তিশালী ভূমিকম্পের সময় ভার বহন করে যত বেশিক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে, এটি তত বেশি মজবুত ।
ইউএপি গবেষণায় ভূমিকম্পের সহনীয়তার ব্যাপারে কি উঠে এসেছে?
গবেষণায় একটি চমৎকার বিষয় বেরিয়ে এসেছে যা প্রয়োগের মাধ্যমে ভবনের কাঠামোকে স্বল্প খরচে শক্তিশালী করা যায়। গবেষণার বিষয় ছিল – বিএনবিসি নীতিমালায় বর্ণিত ভূমিকম্পের স্থিতিভরের উপর ভিত্তি করে প্রস্তাবিত ১০ তলা বিশিষ্ট একটি নমুনা ভবন। ভূমিকম্পের সময় একটা নির্দিষ্ট পরিমানে স্তিতিবল ভবনের উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। যদি কাঠামোর সদস্যদের শক্তি সামান্য বৃদ্ধি করা যায় তবে ভবনটি ভূমিকম্পের বার বার আঘাতের পরও তা সহ্য করতে পারে- যা বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই শক্তি বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে কলামের (পিলারের) জ্যাকেটিং (শক্তিবর্ধন) পদ্ধতি বলা হয়।
ভবনের ‘দুর্বল অংশ’ কি এবং কিভাবে এটাকে আরও বেশি শক্তিশালী করা যায়?
গবেষণা থেকে প্রধান প্রাপ্তি এই যে, ভবনের নীচতলায় গাড়ী রাখার জায়গায় যেখানে শুধু পিলার থাকে সেখানটিকে ভবনের ‘দুর্বল অংশ’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয় এবং ধারনা করা হয় যে, ভূমিকম্পের সময় এই অংশটির ক্ষতিই আগে হয়। স্থাপত্যের গঠন পরিবর্তন না করেও কিভাবে ইহাকে মজবুত করা যায় যাতে ভূমিকম্পের আঘাত সহ্য করে টিকে থাকতে পারে গবেষণায় এটাও উঠে আসে । এখানে স্থাপত্যর বিন্যাস খুবই জরুরী কারন বিএনবিসিতে এই স্থানে নির্মিত কলামের আকার কড়াকড়ি ভাবে নির্ধারণ করা থাকে। কলামের গায়ে একটি সাধারণ স্টিলের পাতের জ্যাকেট ব্যবহার করে সহজেই এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। আর এতে কলামের আকারও অপরিবর্তিত থাকে।
ভূমিকম্পের ব্যাপারে সবাই যখন খুবই উদ্বিগ্ন তখন এব্যাপারে কোন রকম আতঙ্ক সৃষ্টি না করে, সচেনতা বৃদ্ধি করা খুবই জরুরী এবং সেইসাথে গবেষণার মাধ্যমে এরকম প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থার উপায় বের করতে হবে। যাইহোক, প্রকৌশলগত কার্যকর সমাধানের জন্য এবং ভবনকে অধিকতর ভূমিকম্প সহনীয় করার জন্য উদ্ভাবিত এই পদ্ধতিগুলো ডিজাইন ও নির্মাণে প্রয়োগ করতে হবে যাতে ভূমিকম্পে আমরা প্রস্তুত থাকতে পারি।
বিটিআই-র সহযোগিতায় এই গবেষণাটি পরিচালিত হয় যাতে ভবনের মূল কাঠামোকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে ভবনকে অধিকতর ভূমিকম্প সহনীয় করে তোলা যায়।
]]>16604