Many people dream of owning an apartment in a convenient and prestigious location in the heart of the city. But due to several rules and regulations which sometimes prove to be obstacles in the home ownership process, the dream of owning an apartment remains incomplete. Income tax is one of the fear factors for prospective home buyers as a result of which the dream of home ownership remains incomplete. Most people dread at the mere mention of the term thinking it is troublesome and complicated. But with a little bit of knowledge and awareness, you can easily tackle this situation.
When buying an apartment, the first thing to consider for income tax is whether Statement of Asset and Liabilities (IT-10B) or Wealth Statement of Income Tax Return supports it or not. If the Wealth Statement has sufficient Asset or Cash in Hand or bank balance, then you can easily purchase an apartment against that. However, some of you may not be willing to show all of the income for various reasons in the Annual Income Tax Return. As a result, part of your legal income remains undeclared in the Wealth Statement. In the language of NBR, this unexpressed income is known as Undeclared Income or tax evaded income or Black Money
What is undeclared income?
The National Board of Revenue (NBR) defines undeclared income as any legally or illegally earned money which is not declared to the government agency, and on which no income tax is paid to the government. Apart from obvious tax evasion, which reduces government’s revenue, the vines of black money have spread across a wider spectrum of the economy in many ways. Such a trend can have long-term implications for the economy. Black money, also described as tainted money, has seeped into every walk of life and is posing a great threat to the stability of our real economy.
An opportunity to turn your undeclared income into declared income or whitening money
Because of this undeclared income, many people live in constant fear and avoid Government agencies. To get rid of this undue stress from your life and pay due tax to the Government, Government has included clause 19BBBBB in Income Tax Ordinance-1984 under Finance- 2013. This states that if someone purchases an apartment for residential purposes with the undeclared money and pays an allocated amount of tax on the apartment to the National Board of Revenue (NBR), then the NBR will not place any queries on the source of income and will consider this money to be legal. This way, you can not only become a proud apartment owner but also avail the opportunity to legalize the money.
How to show your undeclared income?
To reveal your undeclared income you will have to pay compensation in the form of tax when purchasing an apartment according to set rules as mentioned below:
(a) If your purchased apartment is situated in the area of Gulshan Model Town, Banani, Baridhara, Motijheel Commercial Area and Dilkhsha Commercial Area of Dhaka, then you have to pay tax as follows:
(i) Tk.5,000/- per square meter in case of a building or apartment, the plinth area of which does not exceed 200 (Two Hundred) square meter.
(ii) Tk.7,000/- per square meter in case of a building or apartment, the plinth area of which exceeds 200 (Two Hundred)square meter.
(b) If your purchased apartment is situated in the area of Dhanmondi Residential Area, Defence Officers Housing Society (DOHS), Mahakhali, Lalmatia Housing Society, Uttara Model Town, Bashundhara Residential Area, Dhaka Cantonment, Kawran Bazar, Bijaynagar, Segunbagicha, Nikunja of Dhaka, and Panchlaish, Khulshi, Agrabad and Nasirabad Area of Chittagong, then you have to pay tax as follows:
(i) Tk.4,000/- per square meter in case of a building or apartment, the plinth area of which does not exceed 200 (Two Hundred) square meter.
(ii) Tk.5,000/- per square meter in case of a building or apartment, the plinth area of which exceeds200 (Two Hundred) square meter.
(c) For building or apartment situated in the area of any City Corporation other than areas mentioned in clauses (a) or (b), you have to pay tax as follows-
(i) Tk.2,000/- per square meter in case of a building or apartment, the plinth area of which does not exceed200 (Two Hundred) square meter.
(ii) Tk.3,000/- per square meter in case of a building or apartment, the plinth area of which exceeds 200 (Two Hundred) square meter.
Other factors to consider
(1) If you buy an apartment of high price, it does not mean that you have to pay more tax, since there is no correlation between apartment price and tax payment. You have to pay the tax based on square meter as stated above, regardless of your apartment price.
(2) The rate of tax mentioned above will be twenty percent higher in case you already own a building or apartment in any City Corporation before such investment is completed; or if you have made such investments in two or more buildings or apartments.
(3)The tax payer will have to declare the undeclared income immediately after apartment registration and transfer of possession in the same year. And it will be included in the apartment purchase value in the Statement of Asset and Liabilities (IT -10B) of the Income Tax return.
(4) However, the provision of this section will not apply to home buyers looking to purchase an apartment or construct a home with money obtained from any criminal activities under any other law for the time being in force; or with money which is not derived from any legitimate source.
When you consider all the above points, you will find it easy to overcome your fear of Income Tax, and you can fulfill life-long dream of owning an apartment through appropriate means.
If you are looking to buy an apartment, you can also consult bti and get any queries answered related to tax issues in the home ownership process.
************************************************************************************
অনুবাদক: সৈয়দ মোসাদ্দেক বিন সামাদ
অনেক মানুষই স্বপ্ন দেখে শহরের মধ্যে সুবিধাজনক এবং মানসম্মত জায়গায় একটা এপার্টমেন্টের মালিক হবার। কিন্তু অনেক নিয়ম নীতি মাঝে মাঝে এপার্টমেন্টের মালিক হওয়ার প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করে, ফলে এপার্টমেন্টের মালিক হওয়ার স্বপ্ন বাধাগ্রস্থ হয়। এপার্টমেন্টের সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে আয়কর ভীতিকর একটি বিষয় যার ফলে এপার্টমেন্টের মালিক হওয়ার স্বপ্ন অসম্পূর্ণই থেকে যায়। বেশিরভাগ মানুষই এই ব্যাপারে অযথাই চিন্তা করে ও ভাবে এটা অনেক ঝামেলাপূর্ণ এবং জটিল। কিন্তু সামান্য একটু জ্ঞান ও সচেতনতার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারেন।
এপার্টমেন্ট কেনার সময় আয়করের ব্যাপারে প্রথম যে জিনিসটা মাথায় রাখতে হবে তা হল, দাখিলকৃত বার্ষিক আয়কর বিবরনীতে প্রদর্শিত সম্পদ ও দায়ের বিবরনীর (আইটি ১০ বি) সাথে এটা সঙ্গতিপূর্ণ কিনা। যদি সম্পদের হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ সম্পদ অথবা নগদ অর্থ অথবা ব্যাংকে জমা থাকে তবে খুব সহজেই আপনি এর বিপরীতে একটা এপার্টমেন্ট কিনতে পারেন। যাই হোক বিভিন্ন কারনে আমাদের অনেকই বাৎসরিক আয়কর হিসাবে সকল আয়ের উৎস দেখাতে চান না। ফলে আপনার বৈধ আয়ের কিছু অংশ সম্পদের হিসাবে অপ্রদর্শিতই থেকে যায়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড(এনবিআর)-এর ভাষ্য মতে, এই অপ্রদর্শিত অর্থই অঘোষিত আয় অথবা আয়কর ফাঁকি দেয়া আয় অথবা কালো টাকা হিসাবে পরিচিত।
অঘোষিত আয় বলতে কি বুঝায়?
এনবিআর এর মতে সেই আয়ই হচ্ছে অঘোষিত আয় যা বৈধ বা অবৈধ উপায়ে অর্জিত কিন্তু সরকারী সংস্থার কাছে ঘোষিত নয় বা যার জন্য সরকারকে কোন আয়কর দেওয়া হয়নি। অপ্রদর্শিত আয় আয়কর ফাঁকি ছাড়াও যা সরকারের রাজস্ব কমায়। কালো টাকা বিভিন্নভাবে অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। কালো টাকাকে দূষিত টাকাও বলা হয়, যা জীবন চলার পথকে শুষে নেয় এবং ইহা প্রকৃত অর্থনৈতিক স্থিতিবস্থার জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।
আপনার অঘোষিত টাকাকে ঘোষিত টাকা বা সাদা টাকায় রূপান্তরিত করার একটি সুযোগ
অঘোষিত টাকার কারনে অনেক মানুষই সব সময় আতঙ্কে থাকে এবং সরকারী সংস্থাকে এড়িয়ে চলে। এই অপ্রত্যাশিত চিন্তাকে আপনার জীবন থেকে দূর করতে এবং বকেয়া আয়কর সরকারকে দেবার জন্য, সরকার অর্থনীতি-২০১৩-র অধীনে আয়কর আধ্যাদেশ-১৯৮৪-এ ১৯বিবিবিবিবি ধারা সংযোজন করেছেন। এই ধারায় বলা আছে যে, কেউ যদি বসবাসের উদ্দেশে অঘোষিত অর্থে এপার্টমেন্ট কেনে এবং এপার্টমেন্টের উপর নির্দিষ্ট হারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে আয়কর প্রদান করে তবে এনবিআর এই অর্থের উৎসের ব্যপারে কোন প্রশ্ন করবে না এবং এই অর্থকে বৈধ হিসাবে বিবেচনা করবে। এভাবে, আপনি শুধুমাত্র এপার্টমেন্টের একজন গর্বিত মালিকই হবেন না, বরং অর্থকে বৈধ করার সুযোগও পাবেন।
কিভাবে আপনার অঘোষিত অর্থ দেখাবেন?
এপার্টমেন্ট কেনার মাধ্যমে যখন আপনি আপনার অঘোষিত অর্থ প্রকাশ করবেন তখন জরিমানা হিসাবে নিদিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী আয়কর প্রদান করতে হবে। যা নিচে বর্ণনা করা হলঃ
(ক) যদি আপনি ঢাকার গুলশান মডেল টাউন, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা এবং দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা থেকে এপার্টমেন্ট কিনেন তবে আপনাকে নিন্ম হারে আয়কর প্রদান করতে হবেঃ
১) কোন ভবনাদি বা এপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে যখন এর আয়তন -স্তর ২০০ (দুই শত) বর্গমিটার এর অধিক না হয় সেক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার পিছু ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা;
২) কোন ভবনাদি বা এপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে যখন এর আয়তন -স্তর ২০০ (দুই শত) বর্গমিটার এর অধিক হয় সেক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার পিছু ৭০০০ (সাত হাজার) টাকা;
(খ) যদি আপনি ঢাকার ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা, প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকা (ডিওএইচএস), মহাখালী, লালমাটিয়া আবাসিক এলাকা, উত্তরা মডেল টাউন, বসুন্ধারা আবাসিক এলাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, কাউরান বাজার, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, নিকুঞ্জ এবং চট্টগ্রামের পাঞ্ছলিস, খুলসি, আগ্রাবাদ এবং নাসিরাবাদ থেকে এপার্টমেন্ট কেনেন তবে আপনাকে নিন্মহারে আয়কর প্রদান করতে হবেঃ
১) কোন ভবনাদি বা এপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে যখন এর আয়তন -স্তর ২০০ (দুই শত) বর্গমিটার এর অধিক না হয় সেক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার পিছু ৪০০০ (চার হাজার) টাকা;
২) কোন ভবনাদি বা এপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে যখন এর আয়তন -স্তর ২০০ (দুই শত) বর্গমিটার এর অধিক হয় সেক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার পিছু ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা;
(গ) ক এবং খ এ উল্লেখিত এলাকা বাদে যেকোনো সিটি কর্পোরেশনে ভবন বা এপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে নিন্মহারে আয়কর প্রদান করতে হবেঃ
১) এরূপ ভবন বা এপার্টমেন্ট-এর আয়তন-স্তর ২০০ (দুই শত) বর্গমিটারের অধিক না হলে উক্ত প্রতি বর্গমিটার পিছু ২০০০ (দুই হাজার) টাকা;
২) এরূপ ভবন বা এপার্টমেন্ট-এর আয়তন-স্তর ২০০ (দুই শত) বর্গমিটারের অধিক হলে উক্ত প্রতি বর্গমিটার পিছু ৩০০০ (তিন হাজার) টাকা;
অন্যান্য বিবেচ্য বিষয়
১) আপনি যদি বেশী দামে একটি এপার্টমেন্ট কেনেন তার মানে এই নয় যে আপনাকে বেশি কর দিতে হবে। যেহেতু এপার্টমেন্টের দাম ও কর দেওয়ার মধ্যে কোন সম্পর্ক নাই। এপার্টমেন্টের দাম যাই হোক না কেন আপনাকে আয়কর দিতে হবে এপার্টমেন্টের বর্গমিটারের উপর ভিত্তি করে যেমনটি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
২) অনুরূপ বিনিয়োগের পূর্বে করদাতা কোন সিটি কর্পোরেশনে কোন ভবন বা এপার্টমেন্ট এর মালিকানাধীন থাকলে অথবা করদাতা দুই বা ততোধিক ভবন বা এপার্টমেন্টে বিনিয়োগ করলে সেক্ষেত্রে করের হার উপ-ধারা (১) এ বর্নিত হারের চেয়ে বিশ শতাংশ অধিক হবে।
৩) এপার্টমেন্ট রেজিস্ট্রেশন ও হস্তান্তরের সাথে সাথে একই বৎসরে আয়কর প্রদানকারীকে অঘোষিত টাকার কথা জানাতে হবে এবং আয়কর বিবরণীর সম্পদ ও দায়ভার হিসাবের মধ্যে এপার্টমেন্ট ক্রয় মুল্যের সাথে এই অর্থ সংযোজন করতে হবে।
৪) যাই হোক এই সুবিধাটি সেইসব এপার্টমেন্ট ক্রেতাদের জন্য প্রযোজ্য নহে যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বা অসৎ উপায়ে অর্জিত টাকা দিয়ে এপার্টমেন্ট কেনা বা বাড়ি নির্মাণের কথা ভাবছেন।
যখন আপনি উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবেন তখন খুব সহজেই আপনি আয়কর ভীতিকে জয় করতে পারবেন এবং যথাযত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এপার্টমেন্টের মালিক হবার সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন।
যদি আপনি এপার্টমেন্ট কেনার কথা ভাবেন, আপনি বিটিআই-র সাথে পরামর্শ করতে পারেন এবং এপার্টমেন্টের মালিক হওয়ার প্রক্রিয়ায় কর সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন।
16604